পটুয়াখালীর গলাচিপায় মা মনসাকে পূজা দিতে নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। প্রায় মাস খানেক সময় ধরে মা মনসাকে তৈরি করছেন পাল সম্প্রদায়ের প্রতিমা শিল্পিরা।
তুলির কারুকাজ শেষ করে বুধবার (১৭ আগস্ট) চক্ষু দান করে দেবী মূর্তিকে পূজার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। পূন্যার্থীরা জানিয়েছেন, গলাচিপা উপজেলা গোলখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিম্ন বর্ণের লোকজন যুগ যুগ ধরে এই পূজা সাড়ম্বর উৎসবের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। সুরেলা কন্ঠে নারীরা মনসা মঙ্গল বা পদ্ম পূরান পাঠ করেন মাস কাল সময়। এই সময়ে সম্পূর্ণ করেন নানা আচারাদি। পূজার আগের দিন সংযম পালন করেন নারীরা। পূজার দিন উপবাস করেন।
গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের কিচমত হরিদেবপুর গ্রামে প্রতি বছর মা মনসা মালতি রানী মন্দিরে পূজা দেওয়া হয়। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের শেষ দিন এই পূজার আয়োজন করা হয়। মনসা দেবীকে অর্ঘ্য দিতে ভক্তরা দুধ, কলা, সরা, ঘটসহ নানা উপাচার সংগ্রহ করেন। অনেকে মন্দিরে এবং অনেকে ব্যক্তিগত ভাবেও এ পূজা সম্পন্ন করেন।
এ বিষয় নিয়ে মালতী রানী জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মা মনসার পূজা আমার মন্দিরে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আমার মন্দিরে ভক্তরা আসেন এবং এখানে প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। একদিন ’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়।
রাতে শিল্পী দিয়ে কবি গানের ব্যবস্থা করা হয়। এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি কেসব দাস বলেন, এ বছরে মন্দিরের সংস্কারের কাজ করার কারণে ব্যাপক আলোকসজ্জা করতে পারি নাই। কিন্তু দূর থেকে আসা ভক্তদের জন্য থাকা ও খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় মালতী রানীর মন্দিরে এ বছরও পূজা পরিচালনা হচ্ছে। পূজার সময় যাতে কোন রকম বিশৃংখলা না হয় সেজন্য সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।